বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ হলো কফ নিরাময় করা। কাশি জনিত সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ খাওয়ানো যেতে পারে। টোফেন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি

বেক্সিমকো কোম্পানির টোফেন সিরাপ বাচ্চাদের কফ নিরাময় করতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে নিজে নিজে ফার্মেসি থেকে এই ঔষধ ক্রয় করে সেবন করা যাবেনা বরং ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই রেজিস্টার্ড ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। এবং একমাত্র ডাক্তারের পরামর্শক্রমে এই ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। যাই হোক, বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি? সেই বিষয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।

  • কফ নিরাময় করে: কফ নিরাময় করতে টোফেন সিরাপ খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সঠিক নিয়মে টোফেন সিরাপ খাওয়ালে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কফ সম্পূর্ণরূপে দূর হয়ে যাবে। তাই আপনার বাচ্চার যদি কফ জনিত সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারদের পরামর্শক্রমে টোফেন সিরাপ খাওয়াতে পারেন, আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন। 
  • মিউকাস অপসারণ করে: বাচ্চাদের কফ জনিত সমস্যা দেখা দিলে প্রচুর পরিমাণে মিউকাস নিঃসরণ হয়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের সময় বাচ্চাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়। টোফেন সিরাপ বাচ্চাদের মিউকাস নিঃসরণ কমিয়ে দেয়, ফলে ধীরে ধীরে কাশি জনিত এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দূর হয়ে যায়। 
  • প্রদাহনাশক: টোফেন সিরাপ প্রদাহ নাশক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট জনিত যেকোনো ধরনের প্রদাহ দূর করার ক্ষেত্রে টোফেন সিরাপ খুবই কার্যকর। 
  • নাসারন্ধ্রের বদ্ধ ভাব দূর করে: সর্দি কাশির কারণে অনেক সময় নাক ভেতর থেকে বন্ধ হয়ে যায়। নাকের এই বদ্ধ ভাব দূর করতে টোফেন সিরাপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • গলার প্রদাহ কমায়: কফ জনিত সমস্যার কারণে গলায় ব্যথা অনুভূত হতে পারে, এই ধরনের গলা ব্যথা নিরাময় করার জন্য ডাক্তারগণ টোফেন সিরাপ ব্যবহার করে থাকে।

টোফেন সিরাপ কিসের ঔষধ

টোফেন সিরাপ মূলত কাশি জনিত সমস্যা দূর করার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট, গলোনালির প্রদাহ, অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ আরো বিভিন্ন রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

ডাক্তার যদি আপনার বাচ্চাকে টোফেন সিরাপ প্রেসক্রাইব করে সে ক্ষেত্রে ডাক্তার নিজেই খাওয়ার নিয়ম কানুন বিস্তারিতভাবে বলে দিবেন। আর সেই নিয়ম কানুন যথাযথভাবে অনুসরণ করে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। 

রোগের প্রকোপ যদি অনেক বেশি হয় সে ক্ষেত্রে ডাক্তার দিনে তিনবার এই ওষুধ সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে হাফ চামচ বা এর চেয়ে কম ঔষধ নির্দেশ করা হয়। তবে ক্ষেত্র বিশেষে পরিমাণ কম বেশি করার প্রয়োজন পড়তে পারে। 

আর রোগের মাত্রা যদি খুব বেশি না থাকে সাধারণত ডাক্তারগণ দিনে দুই বার এই ওষুধ সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

টোফেন সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রত্যেকে ঔষধেরই বিশেষ কিছু প্রতিক্রিয়া রয়েছে। টোফেন সিরাপ এমন করার ফলে এর বিশেষ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হতে পারে। টোফেন সিরাপ খাওয়ার পরে সাধারণত যে সকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। 
  • মাথা ঘোরা।
  • মাথাব্যথা।
  • বমি বমি ভাব।
  • বমি হওয়া।
  • অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া।
  • হার্টবিট বৃদ্ধি।
  • পেটের ব্যথা।
  • ডায়রিয়া।
  • ঘুম ঘুম ভাব।
  • মুখ শুষ্ক হাওয়া।

টোফেন সিরাপ এর দাম

সাধারণত ১০০ মিলি টোফেন সিরাপ এর মূল্য ৭৫ টাকা। তবে কিছু কিছু ফার্মেসিতে ১০% ছাড়ে টোফেন সিরাপ বিক্রি করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রের দাম আরো কিছুটা কম পড়বে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

আরো পড়ুন